(10am - 7pm) হটলাইন: 01740-486123
Recent Posts
ঠান্ডা-কাশির সমস্যায় আক্রান্ত হননি এমন মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এসব বেশ সাধারণ সমস্যা ছাড়াও নাক, কান ও গলা সংক্রান্ত নানা রকম গুরুতর সমস্যার সমাধানের বিষয়টি দেখভাল করেন একজন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। মেডিকেলের পরিভাষায় একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞকে অটোল্যারিনগোলজিস্ট বলা হয়।
ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাধারণত নাক, কান ও গলার সাধারণ সমস্যা সনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী প্রতিকার হিসেবে ওষুধ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টনসিলের সমস্যা সনাক্ত করা এবং প্রয়োজনে টনসিল অপসারণের সার্জারি বা অপারেশন সম্পন্ন করা, গলার অভ্যন্তরীণ সমস্যার ক্ষেত্রে সার্জারি ও অপারেশন করাও ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাজ।
এছাড়াও কানে কম শোনা, কানের ভারসাম্যহীনতা জনিত সমস্যা এবং জন্মগত কানের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সমস্যা নির্ণয় এবং এর প্রতিকারের পরামর্শ দেওয়া, নাক ডাকা, নাকের পলিপস ও নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা, স্বরযন্ত্রের সমস্যা নির্ণয় করা এবং এর প্রতিকার সহ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে তার সমাধান দিয়ে থাকেন একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
★ কান ছিঁড়ে যাওয়া
★ কার্টেন ফিউশন
★ গলা এবং মুখ ব্যথা
★ কানে কম শ্রবণশক্তি
★ কান ও গলার সমস্যা
★ নাকের মধ্যে মাংস বৃদ্ধি
★ কানের মাধ্যমে অটোরিয়া
★ টনসিল এবং গ্রন্থির সমস্যা
★ নাকের পলিপ/নাকের হাড় বাঁকা
★ নাক, কান ও গলার সব ধরনের সার্জারি
সহকারী অধ্যাপক ডা. রাফিউল আলম
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (এসএসএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইএনটি এবং হেড নেক সার্জারি), এফআইসিএস (আমেরিকা) মাইক্রো-ইয়ার সার্জারি এবং এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারিতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত (সিঙ্গাপুর) সহকারী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) ঢাকা।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ মোঃ শফিউল আকরাম
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস, নাক-কান-গলা (বিএসএমএমইউ) জাতীয় নাক, কান, গলা ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ শরফুদ্দিন মাহমুদ
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, এমসিপিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এফসিপিএস, এমএস- (থিসিস) মাইক্রোসার্কিউলোস সার্জারিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (বাংলা, ভারত; বেইজিং, চীন) পরামর্শদাতা-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (ঢাকা), এমসিপিএস, ডিএলও (ডিইউ), এফসিপিএস (ইএনটি) অ্যাডভান্সড ট্রেনিং অটোলজি (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) সিঙ্গাপুরের সহযোগী অধ্যাপক, ইএনটি বিভাগ সিএমএইচ ঢাকা এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ঢাকা।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ আহমেদ শরীফ
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, এমএস (ইএনটি) নাক, কান, ও গলা বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন সহকারী অধ্যাপক, নাক, কান ও গলা রাগ বিভাগ মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা, ঢাকা।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ আরিফুল ইসলাম
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (ঢাকা), ডিএলও (ও) এমআরসিএস (অন-কোর্স) অটোলারিনোলজি এবং হেড-নেক সার্জারি কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা প্রাক্তন - সহকারী রেজিস্ট্রার ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা। ডান্ডি ইনস্টিটিউট অফ হেড অ্যান্ড নেক এডুকেশন এর সদস্য (ডিআই এইচএনই) , যুক্তরাজ্য।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
প্রফেসর ডাঃ বেলায়েত হাসান সিদ্দিকী
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআইসিএস, হেড নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রাক্তন চেয়ারম্যান (নাক, কান ও গলা বিভাগ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল), ঢাকা।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
মানবদেহের অস্থি বা হাড়, অস্থি সন্ধি, লিগামেন্ট এবং মাংসপেশীর বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসা দেবার কাজটি অর্থোপেডিক সার্জন করে থাকেন। অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞদেরকে এক কথায় অর্থোপেডিস্টও বলা হয়।
অর্থোপেডিকস হ'ল মেডিসিনের একটি শাখা যেখানে হাড়, হাড় এর জয়েন্টগুলি এবং পেশীবহুল সিস্টেমে ত্রুটি-বিচ্যুতি, রোগ এবং অবক্ষয়জনিত ব্যাধি সংশোধন করে।
অর্থোপেডিস্টরা বিভিন্ন পেশীবহুল সমস্যার জন্য যেমন স্পোর্টস ইনজুরি, জয়েন্টে ব্যথা এবং পিঠে সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য সার্জিকাল এবং ননসার্জিকাল উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
অস্থি চিকিৎসাবিদরা বিভিন্ন ধরণের পেশীবহুল শর্তের চিকিৎসা করেন। এই শর্তগুলি জন্ম থেকেই উপস্থিত হতে পারে, আঘাত বা বয়সের সাথে সম্পর্কিত পোশাক এবং টিয়ারের ফলেও ঘটে যেতে পারে।
আমরা প্রত্যেকে কাউকে না কাউকে জানি,যে মাংসপেশীর ব্যথা বা জয়েন্ট ব্যথার জন্য তার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। শিশু, প্রাপ্ত বয়স্ক এবং বৃদ্ধ যে কারো সাথে এরকম হতে পারে।
ব্যথা মানুষকে কাজ ও জীবনকে উপভোগ করতে দেয় না। তবে সুসংবাদ হলো এটাই যে, স্কোলোসিস আক্রান্ত শিশু থেকে শুরু করে দূর্ঘটনায় আক্রান্ত যে কেউ একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার দ্বারা উপকৃত হতে পারেন। তিনি মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেন।
অর্থোপেডিক সার্জনরা পেশীজনিত ট্রমা, মেরুদন্ডের ব্যাধি, স্পোর্টস ইনজুরি, ডি-জেনারেটিভ ডিজিজ, ইনফেকশন, টিউমার এবং জন্মগত ব্যাধিগুলোর জন্য মেডিসিন ও সার্জারী উভয়ই ব্যবহার করে থাকেন। অবশ্য রোগীকে থেরাপি ও বিভিন্ন ব্যায়ামও করতে দেন।
অর্থোপেডিক ডাক্তার আরো বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করেন যেমন: হাত, কাঁধ, কুনুই, মেরুদন্ড, নিতম্ব, হাটু বা পা। কেউ কেউ অর্থোপেডিক ট্রমা, অনকোলজি(ক্যান্সার), স্পোর্টস মেডিসিন এরকম বিষয় নিয়েও কাজ করে থাকেন। অর্থোপেডিক সার্জনরা অন্যান্য বিষয়ের কনসালটেন্টদের সাথেও নিবিড়ভাবে কাজ করেন।
যে সকল রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন -
★ হাড় ও জয়েন্ট
★ আর্থ্রাইটিস ব্যথা
★ খেলাধুলার আঘাত
★ হাড় ভাঙার সমস্যা
★ সব ধরনের সার্জন
★ গলা ব্যথা এবং হাড়ের ক্ষয়
★ হাঁটুতে পানি জমে ও নিষ্কাশন
★ অর্থোপেডিকস চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ
ডাঃ নুরুল আলম সিদ্দিক (পাভেল)
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন সার্-ই-বাংলা নাগর এমবিবিএস (ঢাকা), ডি-অর্থো (নিটোর) বিসিএস (স্বাস্থ্য), কোড-১২৮৩৪৪ বিএমডিসি রেজি: নং:- এ-৫৯২০৭
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
.১৪/১১ মিতি প্লাজা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডি-অর্থো (বিএসএমএমইউ) এফসিপিএস-সার্জারি (এপিয়ার্ড) কনসালটেন্ট-অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুর।
লাইফ এইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড
৬১৩/২, বেগম রোকেয়া সরণি (সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে, হাতিল ফার্নিচারের ২০০ গজ দক্ষিণে) কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ জি.এম. রুহুল কুদ্দুস
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, ডি-অর্থো (বিএসএমএমইউ) হাড়-সন্ধি, বাতের ব্যথা, অক্ষমতা এবং মেরুদণ্ডের বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক - অর্থোপেডিক এবং ট্রমা সার্জন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন ইনস্টিটিউট (নিটোর) ঢাকা।
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
কালশী শাখা, প্লট নং- ১০, রোড- ৪/৫, ব্লক- বি, সেকশন- ১২, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬, বাংলাদেশ।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ এ.কে.এম. নিজাম-উল-ইসলাম
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (ঢাবি), ডি-অর্থো (পঙ্গু হাসপাতাল) ঢাবি সিনিয়র কনসালটেন্ট-অর্থোপেডিক সার্জারি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল এবং পুনর্বাসন ইনস্টিটিউশন (নিটোর) পঙ্গু হাসপাতাল, ঢাকা।
অর্থোপেডিক এবং ট্রমা বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন। ট্রমা, ফ্র্যাকচার, হাঁটুতে ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, খোঁড়া এবং পক্ষাঘাত।
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
.১৪/১১ মিতি প্লাজা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (ডিএমসি) বিসিএস (স্বাস্থ্য) এমএস (অর্থো-সার্জারি) মেরুদণ্ডের সার্জারি (সিঙ্গাপুর), অপারেটিভ স্পাইন কোর্স, গঙ্গা হাসপাতাল (ভারত), অর্থোপেডিক এবং মেরুদণ্ডের সার্জারি বিশেষজ্ঞ, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল এবং পুনর্বাসন ইনস্টিটিউট (নিটোর) ঢাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
কালশী শাখা, প্লট নং- ১০, রোড- ৪/৫, ব্লক- বি, সেকশন- ১২, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬, বাংলাদেশ।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ কাজী মঈনুর রহমান
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, এমএস (অর্থো), নিটোর/লেম হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, অর্থোপেডিক ট্রমা এবং সার্জন। (হাড় ও জয়েন্ট বিশেষজ্ঞ)।
মেডিনেট মেডিকেল সার্ভিস।
প্লট ১,২,৩ বিএনএসবি বিল্ডিং, কালওয়ালাপাড়া, মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ মোঃ আরিফ আনোয়ার
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস (ঢাকা), ডি-অর্থো (ডিইউ), ডব্লিউএইচও (থাইল্যান্ড), এও ফেলো (ভারত) ফেলো, স্পার্টানস অ্যান্ড আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি (সিঙ্গাপুর)। অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন, (আর্থ্রাইটিস-হাড়ের জয়েন্টে ব্যথার আঘাত)।
মেডিনেট মেডিকেল সার্ভিস।
প্লট ১,২,৩ বিএনএসবি বিল্ডিং, কালওয়ালাপাড়া, মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ডাঃ শাহ মোঃ শামসুল হক
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, এমএস (অর্থো সার্জারি), বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল), সহযোগী অধ্যাপক (অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ), শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা। (অর্থোপেডিক সার্জন)।
মেডিনেট মেডিকেল সার্ভিস।
প্লট ১,২,৩ বিএনএসবি বিল্ডিং, কালওয়ালাপাড়া, মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
আরো পড়ুনঃ ঢাকার কার্ডিওলজিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
নিউরো সার্জন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি নার্ভস সিস্টেম বা স্নায়ুর বিভিন্ন রোগ ডায়াগনোসিস করেন ও অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্পন্ন করেন। সাধারণত নার্ভ বা স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন একজন নিউরোলজিস্ট।
স্নায়বিক সমস্যার ক্ষেত্রে সার্জারি বা অপারেশন করার প্রয়োজন পড়লে তা একজন নিউরোসার্জনের উপর বর্তায়। বাংলাদেশে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ব্যক্তি বেশ ভালো পরিমাণেই দেখা যায় এবং সেক্ষেত্রে টিউমার অপসারণের সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার কাজ করতে হয় একজন নিউরোসার্জনকে।
মস্তিষ্কে রক্ত জমে যাওয়ার কারণে স্নায়বিক প্রবাহ সচল থাকতে পারে না। রক্ত জমে যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্জারি বা অপারেশন করতে হয় একজন নিউরোসার্জনকে। এক্ষেত্রে সমস্যা নির্ণয় করা নিউরোলজিস্টের কাজ এবং নির্ণয় করার পরে নিউরোসার্জনের কাছে জমে যাওয়া রক্ত অপসারণ করতে হয় সার্জারির মাধ্যমে।
মেরুদন্ডের সাথে কিছু নার্ভ বা স্নায়ুর সংযোগ থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় মেরুদন্ডের স্নায়ুগুলো সচলভাবে কাজ করছে না মেরুদন্ডের সমস্যা হওয়ায়। এ ধরনের সমস্যা খুঁজে পাওয়া গেলে মেরুদন্ডে প্রয়োজনীয় সার্জারি সম্পন্ন করতে হয়। তাছাড়া ট্রমা, টিউমার, ভাস্কুলার ডিসঅর্ডার, ব্রেইন ও স্পাইন এর বিভিন্ন রোগ ও এর চিকিৎসা নিয়ে কাজ করেন।
★ মস্তিষ্কে রক্তপাত
★ স্নায়ু ও শিরার রোগ
★ ইনজুরি ব্লিডিং সার্জারি
★ ভেরিকোজ ভেইন সার্জারি
★ মেরুদণ্ড এবং শিরাস্থ সার্জারি
★ হাত ও পায়ের পেশীর শুষ্কতা
★ রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা সার্জারি
★ ঘাড়, কোমর এবং মেরুদণ্ডে ব্যথা
★ শিরা, কোমর এবং মেরুদণ্ডের সার্জারি
★ স্ট্রোক-সম্পর্কিত রক্তক্ষরণ এবং নিষ্কাশন
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিউল আলম
নিউরো সার্জন
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমএস, এফাইসিএস, এফএসিএস, সহযোগী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতাল।
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
১৪/১১ মিতি প্লাজা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-১২১৭
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০৪৮৬১২৩
ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম
নিউরো সার্জন
এমবিবিএস, এমএস (নিউরোসার্জারি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), সহযোগী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতাল, ঢাকা।
লাইফ এইড বিশেষায়িত হাসপাতাল লিমিটেড
৬১৩/২, বেগম রোকেয়া সরণি (সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে, হাতিল ফার্নিচারের দক্ষিণ পাশে) কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৭।
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০৪৮৬১২৩
ডাঃ কালিম উদ্দিন
নিউরো সার্জন
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (নিউরোসার্জারি), সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা। পরামর্শদাতা: নিউরোসার্জারি বিভাগ।
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
১৪/১১ মিতি প্লাজা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-১২১৭
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০৪৮৬১২৩
ডাঃ মোঃ মাসুম আলী
নিউরো সার্জন
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (নিউরোসার্জারি), নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতাল।
মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
১৪/১১ মিতি প্লাজা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-১২১৭
ডাক্তারের প্রোফাইল দেখতে ক্লিক করুন
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০৪৮৬১২৩
আরো পড়ুনঃ ঢাকার কার্ডিওলজিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
আমাদের বৃহদন্ত্র নলের মতো ফাঁপা। বৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকাম। এই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙ্গুলের মত দেখতে অংশটি হলো এপেনডিক্স।
কোন কারণে যদি এর মধ্যে পাঁচিত খাদ্য, মল বা কৃমি ঢুকে যায়, তাহলে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। নানান জীবাণুর আক্রমণে এপেনডিক্সের ঐ অংশে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। একেই এপেনডিসাইটিস বলে।
এটা পেটের নীচের ডান দিকে বুক আর শ্রোণীচক্রের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত। আমাদের শরীরে অ্যাপেন্ডিক্স-এর সঠিক ভূমিকা অজানা, কিন্তু অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে, এটা হজমে সাহায্য করে।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হচ্ছে একটা জরুরি অবস্থা যাতে অ্যাপেন্ডিক্স উত্তপ্ত হয় এবং পেটের নীচের ডানদিকে প্রচণ্ড ব্যথা সৃষ্টি করে। এছাড়া, অ্যাপেন্ডিসাইটিস থাকা ব্যক্তিরা অন্যান্য উপসর্গ, যেমন বমি, জ্বর, এবং পিঠের নীচের অংশে ব্যথা অনুভব করেন।
পেটের অনেক ব্যথাই আমরা গ্যাসের ব্যথা বলে এড়িয়ে যাই। কিন্তু সব ব্যথাই তো আর গ্যাসের নয়। অনেক সময় ভয়ঙ্কক রোগের আলামত হিসেবেও এই ব্যথা দেখা দেয়।
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথাকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে দেখে দেরি করে ফেলেন কিন্তু এজন্য ঘটতে পারে অনেক বড় বিপদ। বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের প্রাণ যায় এই অ্যাপেন্ডিক্স এর সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায়।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হল একটা চিকিৎসাগত জরুরি পরিস্থিতি যা যেকোন বয়সে ঘটতে পারে কিন্তু ১০-৩০ বছর বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটা অ্যাপেন্ডিক্স-এর একটা বেদনাদায়ক স্ফীতি বা প্রদাহ, একটা ছোট, নলাকার বা আঙুলের মত থলি যা বৃহদন্ত্র থেকে প্রসারিত হয়।
অ্যাপেন্ডিক্স-এর মুখটা হচ্ছে ছোট, যা খাবার এবং মলযুক্ত বস্তু এর মধ্যে জমা হতে পারে, কখনও কখনও একটা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এই বাধা একটা জীবাণুগত সংক্রমণ গড়ে তুলতে পারে।
যদি অ্যাপেন্ডিক্স এই পর্যায়ে ফেটে যায়, এবং যদি সময়মত চিকিৎসা না করা হয় এটা পৈটিক গহ্বরে জীবাণুগত সংক্রমণ ছড়াবে যা জীবন-সংশয়কর হতে পারে। যখন অ্যাপেন্ডিক্স উত্তপ্ত হয়, আপনি আপনার পেটে থেকে থেকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
ব্যথাটা ধীরে ধীরে তীব্র এবং অবিরত হয়। এটা নীচের ডানদিকে স্থির থাকে যেখানে অ্যাপেন্ডিক্স অবস্থিত। হাঁটা-চলা, কাশতে থাকা, অথবা পেটে চাপ দেওয়া ব্যথাটাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। জ্বর, খিদে না হওয়া এবং পেট খারাপ এগুলোও অ্যাপেন্ডিসাইটিস-এর সাথে কখনও কখনও জড়িত থাকে।
আরোও পড়ুন - ঢাকার সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
পেটের নীচের ডানদিকে ব্যথা অ্যাপেন্ডিসাইটিস-এর বৈশিষ্ট্য। যাই হোক, আপনি এর সাথে যুক্ত অন্যান্য উপসর্গও অনুভব করতে পারেন, যেমনঃ
অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর উপসর্গগুলি হাঁটাচলা, তলপেটে চাপ দেওয়া কিংবা কাশতে থাকায় আরও খারাপ হতে পারে।
অ্যাপেন্ডিক্টোমি বা অ্যাপেন্ডিসেক্টোমি হচ্ছে একটা অস্ত্রোপচারমূলক প্রক্রিয়া যেখানে অ্যাপেন্ডিক্স বার করে দেবার জন্য তলপেটে একটা কাটা বা ছেদ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, একটা অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপিও ব্যবহার করা হয়।
যখন অ্যাপেন্ডিক্স-এর সরু নল মল অথবা খাবারে বন্ধ হয়ে যায়, এটা ফেটে যেতে পারে এবং ভিতরের বস্তুগুলো চারপাশের পৈটিক টিস্যুগুলিতে ছড়াতে পারে যার ফলে একটা সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এই রকম কোন ক্ষেত্রে, সময়মত এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
আরোও পড়ুন - পাইলস কী, পাইলসের লক্ষণ ও চিকিৎসা
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না।
কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। এপেনডিসাইটিস হলে দেরী না করে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অপারেশনই এই রোগের চিকিৎসা।
কোনো ওষুধে বা অ্যান্টিবায়োটিকে এ রোগ সারে না। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে অপারেশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হয়। না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাই অ্যাপেন্ডিক্স জনিত লক্ষণ গুলো দেখা দিলেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন।
ICU is an Intensive Care Unit that provides all kinds of essential services to patients who are suffering from life-threatening illnesses. Conditions that require immediate care, intensive monitoring by life-saving devices, and life-saving medications to manage the patient's normal physiological activities.
If the patient's condition continues to deteriorate, the patient is transferred directly to the ICU. At present almost every hospital has an ICU facility. Where patients are provided with all the facilities so that their deteriorating health can be improved as soon as possible. If a person has to undergo a major operation or surgery, he is kept in the ICU ward on the advice of a doctor.
Address: 11, Central Mosque, Bus Stand Mirpur, Dhaka 1216
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
Address: 150, Begum Rokeya Sarani, Mirpur-10, Dhaka
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
Address: Q999+CG7, Dhaka
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
Address: Green Garden Tower, 25/A Green Rd, Dhaka 1205
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
Address: 34 Doyagonj New Rd, Dhaka 1204
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
Address: 17 Gareeb-e-Nawaz Ave, Dhaka 1230
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
Address: 5-B, Malibagh, Chowdhurypara, Dhaka - 1219
Hours: Open 24 hours
Phone: 01740-486123
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনিয়মিত কিছু খাদ্যাভাসের জন্য নিজেরাই নিজেদের অজান্তেই রোগ বাধিয়ে নেই। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মিত ঘুম ও শরীর চর্চার অভাবে অনেক সময় আমরা জটিল রোগের সম্মুখীন হই।
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের সাধারণ কিছু সমস্যার মতই কিডনিতে পাথর হওয়া যুক্ত হয়েছে। চারপাশের কেউ না কেউ এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। নারী পুরুষ উভয়ই এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং যার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কিডনির ভেতরে মিনারেল জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি করে যাকে আমরা কিডনিতে পাথর বলে জানি। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের ডিপোজিশন হলে এই রোগের উৎপত্তি হয় যা কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং একসময় একেবারেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকা নির্ভর করে কিডনিতে পাথরের ধরন, অবস্থান, আকৃতি উপর এবং পরবর্তীতে সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর। অনেক সময় রোগীর মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায় এই পাথর।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ হলো এই কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমেই। তাই কিডনি ভাল রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ। তাহলে আসুন জেনে নেই কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ এবং প্রতিকারে করণীয়তা নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য -
সাধারণত আমরা কিডনির খেয়াল রাখা বা যত্ন নেয়া বলতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি পান, মূত্রজনিত কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না সে খেয়াল রাখা কিংবা তলপেটে বা কোমরে একটানা ব্যথা থাকলে তা নিয়ে সতর্ক থাকা এতটুকুই জানি।
কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা বিশেষ করে রেনাল স্টোনে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি রেনাল স্টোনের অন্যতম কারণ।
পাথর নানা আকারের হয়ে থাকে। সাধারণত, পাথরের সংখ্যা কম ও আকার খুব ছোট হলে তা কোনো রকম উপসর্গ ছাড়াই শরীরে থেকে যেতে পারে। ঔষুধের মাধ্যমে তা গলিয়ে দেয়া বা শরীরের বাইরে বের করে দেয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু সংখ্যায় বেশি বা আকারে বড় হলে তা কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও হয়ে থাকে।
কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ জানার জন্য অনেক গবেষণা হয়েছে এবং আজও চলছে কিন্তু কিডনিতে পাথর জমা হওয়া বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যেমন -
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। তবে-
কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে আকস্মিকভাবে পেট বা পিঠে ব্যথা অনুভব করা কিংবা প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা মানেই কিডনিতে পাথরের লক্ষণ নয়, তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন, কারণ হতে পারে এটি মারাত্নক কোন রোগের লক্ষণ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন আসলেই কিডনিতে পাথরের জন্য এমন হচ্ছে কিনা।
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়। কিডনিতে পাথর হলেই অপারেশন করতে হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। চিকিৎসা নির্ভর করে পাথরের অবস্থান, আকার, ধরন, কিডনির কার্যকারিতা এবং প্রস্রাবের পথে প্রতিবন্ধকতার ওপর।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
ছোট অবস্থায় ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, কারণ ছোট আকৃতির পাথর সাধারণত প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়।
কিছু ক্ষেত্রে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার বা যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর ভেঙে বের করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার না করে ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে পাথর বের করা বা পাথর আর বড় না হওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
অস্ত্রোপচারের পরও আবার পাথর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ সেবন করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনিক ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে উপযুক্ত পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায় এবং কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি এবং জটিলতা কে কমিয়ে আনে।
অনেক রোগীই ওষুধ চান, যা খেলে পাথর গলে বের হয়ে যাবে। সত্যিকার অর্থে এমন কোনো কার্যকরী ওষুধই নেই। তাই একবার পাথর হলে, ছোট অবস্থায় তা নিজেই বের হয়ে যেতে পারে, অন্যথায় অপারেশনের মাধ্যমে তাকে বের করে ফেলতে হবে। কিডনির ভেতর পাথর থাকলে কিডনির ক্ষতি হয়। পাথর যাতে কিডনিতে না হতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।
পাথর যদি একের অধিক হয়ে থাকে এবং তা কিডনির গভীরে থাকে বা কিডনিতে পাথর কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি না করে সেসব ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা রোগীর জন্য উপকারী হবে তা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারই বলতে পারবেন। তাই যে কোন সমস্যাতেই হাতুড়ে কবিরাজের পরামর্শমত আজেবাজে চিকিৎসা করিয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। সময় থাকতে সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।
আমাদের শরীরে কিছু টিস্যু আছে যেগুলো আশে পাশের অন্য টিস্যুর থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে থাকে৷ যখন শরীরের সেই অংশ গুলোতে ভেতরের চাপ বেশি হয়, যেমন- অনেক দিনের পুরানো হাঁচি, কাশি বা কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে শক্তিশালী টিস্যুগুলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল টিস্যু গুলোকে ভেদ করে বেরিয়ে আসে তখন সেই অবস্থাকে হার্নিয়া বলা হয়।
এটি স্ত্রী-পুরুষ এমনকি বাচ্চাদেরও হয়ে থাকে। তবে এ রোগে স্থূলকার ব্যক্তিদের আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। সাধারণত অন্ত্র বা উদরকে ঘিরে থাকা পেরিটোনিয়াম উদরের দেওয়ালের কোন ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে তখন হার্নিয়া হয়ে থাকে। বেড়িয়ে আসা অংশটিকে বলা হয় হার্নিয়া স্যাক। এর মাঝে অন্ত্রের অংশ, পেরিটোনিয়াম (উদরের বাইরের দেওয়াল), পাকস্থলী অথবা পেটের চর্বি থাকতে পারে। এটাকে বাইরে থেকে দেখতে একটি স্ফীতির মত মনে হয়।
সব চেয়ে সাধারণ প্রকারের হার্নিয়া হচ্ছে ইঙ্গুইনাল হার্নিয়াস যা পরোক্ষ ভাবে কুঁচকি'র সাথে সম্প্রীত, অস্ত্রোপচারের পরে পেটে একটি কাটা অথবা দাগ যা ইনসিশানাল বা ভেন্ট্রাল নামে পরিচিত, থাই'এর উপর দিকে বা কুঁচকি'র বাইরের দিকে থাকা ফিমোরাল, নাভির কাছে থাকা আমবিলিক্যাল এবং ডায়াফ্রাম বা পাকস্থলীর উপর দিকে থাকা হিয়াটাল।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
হার্নিয়ার লক্ষণ হচ্ছে যেখানে হয়েছে সেখানে ব্যথা হবে বা ফুলে থাকবে তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ দেখা যায় না। হার্নিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে অস্ত্রোপচার, যাতে প্রভাবিত টিস্যুগুলি আবার আগের জায়গায় ফিরে যায় এবং ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এর জটিলতা হচ্ছে ফোলা, ব্যথা এবং অস্ত্রোপচারের জায়গা থেকে নির্গমন হতে থাকা। তবে অস্ত্রোপচারে ফলাফল ভাল হয়, সাধারণত হার্নিয়া আবার হয় না কিন্তু খুব অল্প ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না হওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে।
হার্নিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কিছু কারণ নিচে দেয়া হলো -
হার্নিয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গ অনেক রকমের হতে পারে, যেমন -
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
হার্নিয়ার ভাল চিকিৎসা হল শল্য চিকিৎসা। অস্ত্রোপচারের সময়ে হার্নিয়ার বস্তুগুলিকে ঠেলে উদরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বা কেটে বাদ দিয়ে জায়গাটা সেলাই করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে দুর্বল টিস্যু এবং পেশীগুলি ভেদ করে বস্তু বেড়িয়ে এসেছিল, সেগুলিকে সঠিক জায়গায় ধরে রাখার জন্য একটি কৃত্রিম বা পশুজাত জাল ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও দুই ধরনের অপারেশনের মাধ্যমে হার্নিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। উন্মুক্ত বা প্রথাগত ভাবে এবং অল্প ক্ষত করে ল্যাপারস্কোপিক শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে। উন্মুক্ত অস্ত্রোপচারে হার্নিয়ার জায়গায় একটি বড় ও লম্বা গর্ত কাটা হয় এবং দুর্বল পেশীগুলিকে মেরামত করা হয়।
ল্যাপারস্কোপিক বা কী-হোল শল্য চিকিৎসায় একাধিক ফুটো করা হয় এবং সরু নলের মত যন্ত্র দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। নলের মাথায় একটি ক্যামেরা লাগানো থাকে যাতে শরীরের ভিতরের ছবি শরীরের বাইরে একটি মনিটারে দেখে কাজ করা যায়।
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়াতে হার্নিয়োটমি, হার্নিয়োর্হাফি বা হার্নিয়োপ্লাস্টি'র মতন বিশেষ পদ্ধতির সুবিধা নেওয়া হয়। ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার অন্যান্য চিকিৎসাগুলি হলো কুন্ট'জ অস্ত্রোপচার, এন্ড্রিউ'জ ইম্ব্রিকেশানস বা ম্যাকভে বা নিহাস মেরামত এবং তা নির্ভর করে কি ধরনের মেরামত প্রয়োজন। অস্ত্রোপচারকারী ডাক্তার এই বিষয় নির্ণয় করে থাকেন।
বিভিন্ন প্রকারের হার্নিয়ার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার সব সময় হার্নিয়ার একমাত্র চিকিৎসা নয়। অস্ত্রোপচারের দরকার হয়না, যদি আপনার হার্নিয়া, যে ধরনেরই হোক না কেন, কোন স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় বড় সমস্যা না থাকে। কিন্তু, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এবং যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার এড়িয়ে যাওয়া হয়।
জন্মগতভাবে যদি হার্নিয়া থাকে তবে প্রতিরোধ করা যায় না। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে হার্নিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
হিয়াটাল হার্নিয়ার ক্ষেত্রে, কখনও কখনও বাজারে চলতি ওষুধ দেওয়া হয় যাতে পাকস্থলীর অম্বল কম হয়। এতে অস্বস্তি এবং অন্যান্য উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে হিয়াটাল হার্নিয়ার উপসর্গ কম করা যায় কিন্তু সরানো যায় না। একবারে অনেকটা ভারী (গুনে ও পরিমাণে) খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
ভোজনের পরেই শুয়ে পড়া অথবা শ্রমসাধ্য শারীরিক পরিশ্রম করা বন্ধ করতে হবে। যে খাবারগুলি অম্বলের কারণ হয় সেই মশলাদার বা টক খাদ্য পরিহার করে হিয়াটাল হার্নিয়ার রোগীরা অম্বল থেকে মুক্তি পাবেন। যত দিন উপসর্গ থাকে তত দিন ধূমপান বন্ধ রাখুন। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে আপনার উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্য রাখুন।
কিছু কিছু ব্যায়াম হার্নিয়ার অঞ্চলের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। এতে কিছু উপসর্গ কম হবে। তবে অত্যধিক ব্যায়াম করা বা ডাক্তারবাবুর পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম করলে হিতে বিপরীত হবে। ভাল হয় যদি একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ব্যায়ামগুলি করেন। যদি সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মেনে চলার পরও উপসর্গগুলি না যায় তাহলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই হার্নিয়া ঠিক করতে হবে।
পাইলস, যাকে অর্শ্বরোগও বলা হয়। বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে, যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয় যা আমরা পাইলস নামে জেনে থাকি। যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ বা প্রদাহ হয় এবং চাপ পড়ে তখন পাইলস বা হেমোরয়েডসে প্রদাহ হয়। যাকে সাধারণ ভাষায় অর্শরোগ বলা হয়।
এটি মলদ্বারের এক ধরনের জটিল রোগ। পাইলস এর ফলে রক্তনালিগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোন বয়সের মানুষ এ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পাইলস হলে সাধারণত চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। মলদ্বারের নিচের অংশে গোল আকারে ফুলে উঠে, ফলে যে কোন সময় সেই জায়গা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। এটি খুবই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রনাদায়ক।
দীর্ঘকালীন কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এছাড়া যাদের মলত্যাগের অকারণে বেগ প্রদানের বদভ্যাস রয়েছে, তারাও এই রোগ বাধিয়ে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই পাইলস কী, পাইলসের লক্ষণ ও চিকিৎসা সহ কিছু তথ্য।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
সাধারণত পাইলস দুই প্রকার হয়ে থাকে -
অভ্যন্তরীণ পাইলস এবং বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারে তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। এগুলি সাধারণ এবং মলদ্বারের ভিতরে মলদ্বারের খোলার উপরে ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার (সেমি) এর মধ্যে ঘটে।
অভ্যন্তরীণ পাইলস:
অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগ চারটি শ্রেণী বা পর্যায়ের হয় যা প্রোল্যাপের উপর ভিত্তি করে।
বাহ্যিক পাইলস:
বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারের বাইরের প্রান্তে ছোট ছোট গলদ গঠন করে। এগুলো প্রায়শই চুলকানিদায়ক এবং বেদনাদায়ক হয়ে থাকে।
পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা, পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা।
গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণেও এ রোগের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপের ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
পাইলস রোগে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচ্ছে- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের পাইলস রোগে সাধারণত তেমন কোনো ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না। অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সঙ্গে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করার টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।
পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলি এখানে:
অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগের লক্ষণ:
বহিরাগত অর্শ্বরোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
পায়ুদ্বার সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এ ধরনের অসুখের ক্ষেত্রে অনেকেই চেপে যান প্রথমে, যা অসুখের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা রোগ নির্ণয় করে প্রক্টোস্কোপির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।
প্রথম পর্যায়ে মলম, ইনজেকশন বা রাবার ব্যান্ড লাইগেশনের সাহায্যেই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। অসুখের মাত্রা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে অবশ্য শল্যচিকিৎসা ছাড়া উপায় নেই। তবে সব কয়টি ক্ষেত্রেই রোগটি ফিরে আসার শঙ্কা থাকে, যদি না সাবধানে থাকা যায়।
সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩
এজন্য বদলে ফেলুন লাইফস্টাইল। পাইলস বা পায়ুদ্বার সংক্রান্ত যে কোনো অসুখের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী অনিয়মিত লাইফস্টাইল। এজন্য খাওয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ক্যাফিন জাতীয় পানীয়, তেল-ঝাল মশলাযুক্ত রান্না। পাইলসের রোগীদের পক্ষে শুকনো লঙ্কা বিষতুল্য। ভারী জিনিস তোলাও কিন্তু বারণ।
পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার পূর্বেই এর চিকিৎসা করা জরুরি। রিং লাইগেশন এবং লংগো অপারেশনের দ্বারা শতকরাই প্রায় ১০০% রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রচলিত এই অপারেশনে মলদ্বারের তিনটি অংশ কাটার প্রয়োজন হয়।
এই অপারেশন শুধু তাদের জন্যই করা হয় যাদের রিং লাইগেশন এর জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যারা লংগো অপারেশন করানোর জন্য মেশিন কিনতে অক্ষম।
চলিত অপারেশনের মতই আরেকটি অপারেশন হলো লেজার অপারেশন। পার্থক্য শুধু এটাই যে, লেজার অপারেশনে বিম ব্যবহার করা হয়। এবং প্রচলিত অপারেশনে সার্জিক্যাল নাইফ ব্যবহার করে কাটাকাটির কাজ করা হয়।
চলিত অপারেশনের মতো লেজার অপারেশনে ক্ষত স্থান হবে তিনটি । লেজার অপারেশন ও সাধারণত অপারেশন এর মধ্যে তেমন কিছু তফাৎ নেই কারণ দুটি অপারেশনেই সমান ব্যথা অনুভব করতে হয়। ক্ষত স্থান টি শুকাতে ১-২ মাস সময় লাগে।
আরোও পড়ুন - ঢাকার জেনারেল সার্জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
পাইলস চিকিৎসা শাস্ত্রে বহু ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমনঃ– ক্রায়োথেরাপি, ইঞ্জেকশন, আল্ট্রয়েড, লেজার থেরাপি, রিং লাইগেশন ইত্যাদি।
তবে আপনি যদি উপরিউক্ত চিকিৎসাগুলো না করে ঘরোয়া ভাবে এর সমাধান বের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নীচে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো আপনার জন্য।
পায়ুপথের যেকোনো রোগকেই অধিকাংশ মানুষ পাইলস বলে জানে। কিন্তু পায়ুপথের রোগ মানেই পাইলস নয়। পায়ুপথে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ রোগী, বিশেষত নারীরা, এসব সমস্যার কথা গোপন করে রাখেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে দেরি করে ফেলেন।
আবার অনেকেই লজ্জা বা সংকোচের কারণে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে টোটকা ওষুধ, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি গ্রহণ করেন। আর ক্রমশ অবস্থা জটিল হয়ে পড়ে। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা নিলে অধিকাংশ মানুষ সার্জারি বা অস্ত্রোপচার ছাড়াই হয়তো ভালো হতে পারবেন।
পায়ুপথে সাধারণত ফিসার, ফিস্টুলা, হেমোরয়েড, ফোড়া, প্রোলাপস, রক্ত জমাট, পলিপ বা টিউমার ইত্যাদি রোগ হতে পারে। সব সমস্যার অন্যতম কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই এ বিষয়ে আগে থেকে সচেতন ও সতর্ক থাকতেই হবে। চিকিৎসা না নিলে এ থেকে কখনো কখনো ক্যানসার বা বড় সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই যথাসময়ে এর চিকিৎসা ও সতর্কতা জরুরি।
আরোও বিস্তারিত জানতে এবং সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন - ০১৭৪০-৪৮৬১২৩